অপারেশন হরর টুইস্ট - পর্ব ০৫ - ০৮ - লোমহর্ষক ভূতের গল্প

অপারেশন হরর টুইস্ট
লেখক: এস এ সোহেল
পর্ব ৫-৮ (শেষ পর্ব)


পর্ব

''' শাফিন ভেবে পাচ্ছিলোনা এতোকিছুর পেছনে মূল রহস্যটি কি তাহলে!!!মাথায় আঘাত পাওয়ায় সে আর বেশিক্ষণ হুশে থাকতে পারলোনা,জ্ঞ্যান হারালো সেখানেই।""
কর্ণেল সাহেবের স্ত্রি ফজরের নামাজ পড়বার জন্য ঘুম থেকে উঠে বের হোন ঘর থেকে।তিনতলায় নিশার রুমে যাচ্ছিলেন তাদেরকেও নামাজ পড়ার জন্য ডাকতে।ঠিক তখনি করিডোর এর দিকে নজর গেলে তিনি দেখতে পেলেন শাফিন পড়ে আছে।কাছে গিয়ে শাস পরীক্ষা করে দেখলেন যে সে অজ্ঞান হয়ে আছে।তিনি জলদি নিশা আর জারিনকে ডাক দিলেন।তারা দুজন এসে শাফিনকে ধরে নিয়ে তার রুমে শুইয়ে দেয়।তারপর চোখ-মুখে পানি দেওয়ার পরপরই তার জ্ঞ্যান ফিরে।মাথাটা ব্যাথায় সে নারাতে পারছিলোনা।তারপর সে জারিন নিশা এবং কর্ণেলল সাহেবের স্ত্রিকে রাতে ঘটে যাওয়া সব কথা তাদের বলে।এর সাথে শাফিন এটাও বলে যে সেই অশরীরীটি কোনো কিছুর প্রতিশোধের কথা বলছিলো।তারপর শাফিন নিশার মা কে জিজ্ঞাসা করলো যে তাদের কোনো শত্রু ছিলোকিনা?অথবা কখনও কি এমন হয়েছে যে তারা কেউ এই অশরীরীটির সাথে অন্যায় করেছিলো??এ প্রশ্নগুলোর উত্তর নিশার মা'র জানাছিলোনা।তাই তিনি কিছু বলতেও পারেননি।
শাফিন ঘটনাগুলোকে নিয়ে ভাবতে থাকে। একেরপর এক ঘটনাগুলো মিলাতে থাকে।
একপর্যায়ে সে সিদ্ধান্ত নিলো পুরো বাড়িটা সে ঘুরে দেখবে।যেইভাবা সেই কাজ,বের হয়ে গেলো সে বাড়ি ঘুরে দেখার জন্য।সাথে ছিলো জারিন এবং নিশা।সেতো পুরো বাড়ি খুঁজে খুঁজে দেখো,কিন্তু এমন কিছু পেলোনা যা তার অভিযানে কাজে দিবে।তখন তারা বাড়ির পিছনদিকটা ঘুরে দেখতে লাগলো।
আগেই বলেছি শাফিন কমান্ডো অফিসার,বিধায় সে খুবই সতর্কতার সাথে সব দেখে নিচ্ছিলো।
একপর্যায়ে নিশা কোনো কিছুর সাথে হোচট খেলো।শাফিন আর জারিন দ্রুত কাছে গেলো,তারপরে নিশাকে টেনে তুললো।ঠিক সেই মুহুর্তে শাফিন দেখতে পেলো একটি বড় ডিভাইস এর সাথে নিশা ধাক্কা খেয়েছে।ডিভাইসটি মাটিতে অর্ধেক গাথা ছিলো।শাফিন দ্রুত তার সাথে থাকা ছুরি দিয়ে মাটিখুড়ে সেই ডিভাইসটি বের করলো।এটা দেখে তার অনেকটা চেনা চেনা লাগলে এই ডিভাইসটি।কিন্ত সে মনে করতে পারছিলোনা।পরে সে ডিভাইসটির গায়ে লেগে থাকা মাটি সরিয়ে তার গায়ের লিখাগুলো পড়তে লাগলো।ঠিক তখনি সেটার গায়ে লেখা পেলো"ওয়ারলেস সাউন্ড সিস্টেম "।
নামটা পরে শাফিন বুঝতে পারলো যে নিশ্চয় এই বাড়ির সাথে এই ডিভাইসের সংযাোগ রয়েছে।তখন তারা সবাই মিলে বাড়িতে চলে এলো।শাফিন এক দৌড়ে তার রুমে চলে গেলো।পুরো রুম খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে চেক করতে লাগলো।
একসময় খুঁজতে খুঁজতে সে রুমের দুটি বিশাল চিত্রকর্মের পিছনে আবিষ্কার করলো সাউন্ড স্পিকার। এ দুটি পেয়ে শাফিন বিজয়ের হাসি হাসলো।
কিন্তু পরক্ষনে তার মন খারাপ হয়ে গেলো অন্য দুশ্চিন্তাতে।
কারণ,সে দুটি জিনিস এখনো খুজে পায়নি।তা হলো রুমের দরজা কে আটকে দিতো এবং ধোয়া কোথা থেকে আসতো!!!
বেপারটা এখন বড় ধরনের ষড়যন্ত্র বলে মনে হচ্ছে তার।আচ্ছা তাহলে যে রাতের অশরীরী ছিলো সেটাতো আর মানুষ বানাতে পারবেনা।তাহলে তার সাথে এগুলোর কি সম্পর্ক???
আপাততো সে ভাবতে লাগলো কি করে এই সাউন্ড সিস্টেম এর অপরাধিকে ধরা যায়। ভাবতে ভাবতে সে একটি প্ল্যান বানিয়ে ফেললো।
""""""রাত ১২ বেঁজে ১৫ মিনিট"""""
শাফিন এই মুহুর্তে রয়েছে নিশাদের বাড়ির ঠিক পিছনে ঝোপের আড়াঁলে লুকিয়ে।সে সাউন্ড ডিভাইসটির কাজ করার ক্ষমতা নষ্ট করে দিয়ে তার আগের জায়গামতো রেখে দেয়।তার প্ল্যান অনুযায়ী যে এই সাউন্ড ডিভাইসটি যখন কাজ করবেনা তখন শিউওর কেউনাকেউ এটাকে যাচাই করতে এখানে আসবে।
সেই মোতাবেক শাফিন অপেক্ষার প্রহর গুনছে।
"""এভাবে অপেক্ষা করতে করতে সময় কাটতে থাকে।ঘড়ির কাটায় রাত্র ২.০০ তার মতো বাজে।এমন সময় কোনো একজন লোকের পায়ের শব্দ পাওয়া গেলো।শাফিন খুবই সতর্কতার সাথে তার উপর চোখ রাখলো।চাদের আলোতে বোঝা যাচ্ছিলো লোকটির বয়স বেশিজোর ৩২-৩৩ এর ধারে কাছে হবে হয়তো।সেই লোকটি সাউন্ড ডিভাইসটিকে মাটি খুদে তুললো।তারপর ব্যাগের মধ্যে ভরে রওনা দিলো।
শাফিন চুপিসারে তার পিছুপিছু যাওয়া শুরু করলো।তার পিছুপিছু প্রায় ঘন্টাখানেক সে চললো।তারপর কিছুটা সামনে শাফিন লক্ষ্য করলো দালানের মতো কিছু একটা আছে।আরো সামনে যাবার পর শাফিন দেখে বুঝলো যে এটা একটা মন্দির।সেই মুহুর্তে শাফিনের মনে পরলো নিশার কথা।কেননা নিশাই বলেছিলো যে রুমের মাঝে অপরিচিত কণ্ঠস্বরটি তাকে এই মন্দিরেই আসতে বলেছিলো।এবং এখানেই সে এসেছিলো।
শাফিন লোকটির পিছুপিছু মন্দিরের মাঝে চলে আসে।একটু সামনে জেতেই কিছু মানুষ এর কথোপকথন শুনতে পেলো।তারপর সে আড়ালে থেকে লুকিয়ে দেখবার চেষ্টা করলো যে সেখানে কে আছে তা দেখবার জন্য।
শাফিন সেখানে সেই সাউন্ড ডিভাইস নিয়ে আসা লোকটিকে দেখলো একজন বয়স্ক লম্বা দাড়িওয়ালা একজন লোকের সাথে কথা বলছে।লোকটিকে দেখতে সাধু/সন্ন্যাসী এর মতো লাগছিলো।
শাফিন চুপচাপ দাঁড়িয়ে তাদের কথা শুনছিলো।
ডিভাইস নেওয়া লোকটি বলছিলো:-আর কতোদিন এভাবে ভুত আর ডিভাইস দিয়ে ভয় দেখাবো?এদিকে বড় সাহেবও কোনো অর্ডার দিচ্ছেন না,তিনিতো দেখাই করছেননা আমাদের সাথে।
এদিকে বড় সাহেবের ভাই এর অবসরের সময় হয়ে এসেছে। আমাদেরতো দ্রুত কিছু একটা করতে হবে নাকি?""
তারপর সন্ন্যাসী প্রতিউত্তর করলো:-তোকেতো বলা হয়নি,আজকেতো বড় সাহেব আসবেন।""
শাফিন এর মাথায় এখন আরেক চিন্তা এলো কে এই বড় সাহেব,তাকে দেখতে হলেতো অবশ্যই এখানে অপেক্ষা করতে হবে।
বেশকিছুক্ষন পরে একটি লোক চাদর মুড়ি দিয়ে তাদের মাঝে এলো।
শাফিন অপেক্ষায় আছে কখন লোকটি চাদর সরাবে মুখ থেকে।
লোকটি এসে বলতে লাগলো:-কিরে কি হয়েছে,আজ আমাকে তুই এতো জরুরি ডাকলি!!!
কন্ঠটা শুনে শাফিনের কাছে অনেকটা পরিচিতো লাগছিলো।কে হতে পারে এই লোকটি???
তথাকথিতো লোকটি ঘরম লাগার কথা বলে তার মুখের থেকে চাদর সরাচ্ছিলো।শাফিন একদৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছে।
"""'যেইনা লোকটি চাদরটা সরালো শাফিনের চোখ কপালে উঠলো!!!!নিজের চোখকেও বিশ্বাস করতে পারছেনা সে।"""""
এমন কে ছিলো যে শাফিন একরক ভরকে গেলো!!!তবেকি আশা মিলছে সকল সমস্যার সমাধান???"অপারেশন হরর টুইস্ট"

পর্ব ৬

"'যেইনা লোকটি চাদরটা সরালো শাফিনের চোখ কপালে উঠলো!!!!নিজের চোখকেও বিশ্বাস করতে পারছেনা সে।"
এমন কে ছিলো যে শাফিন একরক ভরকে গেলো!!!'সে আর কেউ নয় নিশার চাচা আমজাদ সাহেব।শাফিন বুঝতে পারছিলোনা আমজাদ সাহেব কেনো তার ভাই এর সাথে এমন করছে।এরপর সে মন দিলো আমজাদ সাহেব এবং তাদের মধ্যকার কথোপকথন এর মধ্যে।
""সন্ন্যাসী :-আমজাদ সাহেব,আপনার বাড়িতে সব ঠিকঠাক আছেতো?
আমজাদ:-মোটামুটি ঠিকঠাক আছে।কিন্তু একটা ছেলে এসেছে,তার চালচলন আমার বেশ সন্দেহজনক লাগছে।কেমন জানি একটা সন্দেহজনক দৃষ্টি নিয়ে চলে,অনেকটাই সতর্কের সাথেই থাকে।আচ্ছা সে কথা বাদ দাও।আমাকে এতো জরুরী ডাকলে কেনো?
""সন্ন্যাসী :- আসলে সাউন্ড ডিভাইসটির মধ্যে সমস্যা দেখা দিয়েছে।কিন্তু মানুষ ব্যাতীত অন্য কেউতো এ কাজ করতে পারবেনা।তাই আপনাকে ডাকলাম যে কোনো সমস্যা হয়নিতো বাড়িতে!!!
আমজাদ:-কি বলো সাউন্ড ডিভাইস এর এমন অবস্থা হয়েছে????
সন্ন্যাসী :- হ্যা আমজাদ সাহেব।এর জন্যইতো আজ অনিমার আত্মাকে আপনাদের বাড়িতে পাঠাতে পারলামনা।
আমজাদ:- হায়য়য় কেমন আছে আমার মেয়েটা!!! [কান্না জড়িত কন্ঠে]
সন্ন্যাসী :- সাহেব আত্মাদের আর ভালো থাকা বা খারাপ থাকাতে কি আসে যায়। তবে সে দিন দিন প্রতিশোধের আগুনে জ্বলছে।
আমজাদ:-প্রতিশোধ প্রতিশোধ প্রতিশোধ!! তাকে বলে দিও খুব শিঘ্রই আমরা এই প্রতিশোধ এর অপক্ষাকে বিদায় জানাবো আর মুক্তি দিবো আমার মেয়েকে।
[[[এর মাঝে হঠাৎ শাফিনের ফোন বেজে উঠে তনিমার কল আসায়।শাফিনের ফোনের আওয়াজ আমজাদ,সন্ন্যাসীর কানেউ পৌছিয়ে যায়। আমজাদ সাহেব চিল্লানো শুরু করে এবং বলতে থাকে "কে লুকিয়ে আছিস বের হো সাহস থাকলে।শাফিন আর এক মুহুর্ত দেরী না করে সে দৌড় দিলো জজ্ঞলের রাস্তা ধরে।ইতিমধ্যে তারাও ছুটা শুরু করে তার পিছনে।কিন্তু শাফিনের সাথে তারা পাল্লায় পারলোনা।সে দ্রুত বাড়ি এসে তার ঘরে ডুকে যায়।]]]
আমজাদ সাহেব তখন সন্ন্যাসীকে বলছিল "বুঝলে সন্ন্যাসী বাবা,ঘরের শত্রু বিভীষণ ",আমাদেরকে খুব সাবধানে থাকতে হবে।এই লোকটি আমার বাড়ির কেউ একজন হবে মনে হয়।
"""""শাফিন বাড়িতে এসে ভাবতে শুরু করলো যে,নিশার চাচা কেনো এমন কাজ করতে যাচ্ছে??আর অনিমা সেওই বা কে?আর আমজাদ সাহেবের মেয়েতো হলো জারিন।তাহলে সে অনিমাকে কেনো তার মেয়ে বলছে??
আরেকটা সন্দেহ জোটলো তা হলো সন্ন্যাসী এবং সেই লোকটা আমজাদ সাহেব কে বড় সাহেব বলেছিলো।কিন্তু এবাড়ির বড় ছেলেতো আহমদ(কর্ণেল)স্যার।এব­­ং অন্যদিকে সন্ন্যাসী বলেছিলো অনিমার আত্মার মুক্তির কথা।তাহলে কি অনিমা মৃত?সেই অশরীরী কি তাহলে অনিমার আত্মা??আর যদি তাই'ই হয় তবে সে কেনো এ বাড়ির মানুষদের ক্ষতি করতে চাইছে???আর তার সাথে কি এমন কোনো অন্যায় হয়েছে যার কারনে সে আজ মুক্তি পায়নি এখনো।
এরকম হাজারো দুশ্চিন্তা করতে করতে শাফিন একটা সময় ঘুমিয়ে পড়ে।"""""
ঘুম থেকে উঠে বেলা ১১টায়।
ফ্রেশ হয় বাড়ির উঠোনে এসে সে সবার সাথে গল্প করছিলো।এমন সময় আমজাদ সাহেবের আগমন ঘটলো।
আমজাদ:-কি ব্যাপার শাফিন এতো বেলা করে ঘুম থেকে উঠলে যে??রাতে কি ঘুম হয়নি নাকি চোর পাহারা দিলে?[হাসতে হাসতে]
শাফিন:-হ্যা কাকু ঠিক ধরেছেন।তবে চোরকে চিনে রেখেছি,সুযোগ বুঝে পুরো ইনকাউন্টার করে দিবো।
আমজাদ:- কি ব্যাপার শাফিন?তুমি দেখি ডিফেন্স এর লোকদের মতো কথা বলছো!!!গুপ্তচর নাকি।[চোখে রাগ নিয়ে]
শাফিন:- এ কেমন কথা চাচা,তেলাপোকা দেখলেই দশ হাত দূরে থাকি আর আপনি বলছেন আমি হবো গুপ্তচর!!!
আমজাদ:- হ্যা সেটাই ভালো নাহলে মিশিয়ে দিবো মাটির মাঝে।[চাপা স্বরে এবং গুনগুনিয়ে]
শাফিন:- কি কাকু,কিছু বললেন নাকি?
আমজাদ:- না বাবা কিছু বলিনি।সাবধানে থেকো, সবাইকেতো চিনোনা দেশে কখন কি হয় কেউ বলতে পারেনা।
শাফিন:- জি কাকু অবশ্যই।
"""""শাফিন ভালোভাবেই বুঝতে পারলো যে আমজাদ সাহেব তাকে খুব ভালোভাবেই সন্দেহ।শাফিন ভাবলো আজ হয়তো সাউন্ড ডিভাইসটি পুনোরায় ফিট করতে পারে।তাই সে একটি ক্যামেরা এনে বাড়ির পিছনে ফিট করে রাখলো যাতে দিনের বেলা নজর রাখতে পারে সারাদিনেও কেউ এলোনা।তাই সে সিদ্ধান্ত নিলো রাতে আজ আবার পাহাড়া দিবে।যেই ভাবা সেই কাজ।রাত্রিবেলা চলে এলো ঝোপের মাঝে।
যথারীতি সেই মানুষটি এলো ডিভাইসটি নিয়ে। শাফিন আগের মতোই পিছু নিলো তার।কিছুদূর যাওয়ার পরই কেউ একজন তার মাথায় লাঠি দিয়ে খানিকটা জোরেই আঘাত করলো।আঘাতের মাত্রা সইতে না পেরে সে অজ্ঞান হয়ে পরে।""""""
""""আস্তে আস্তে শাফিন তার চোখ খুলে,এবং নিজেকে আবিষ্কার করে একটি গাছের সাথে উল্টো হয়ে ঝুলন্ত অবস্থায়।মাথাটা তার ঝিমঝিম করছে।কতক্ষণ পর তার জ্ঞ্যান ফিরেছে তা সে নিজেও জানেনা।তবে সে বুঝতে পেরেছে এটা কার চাল।নিশ্চয় আমজাদ সাহেবের কাজ এটা।"""""
কিছুক্ষণ পরেই আমজাদ সাহেব এবং সেই লোকটি এলো,কিন্তু সন্ন্যাসীকে কোথাও দেখা গেলোনা।
আমজাদ সাহেব খিলখিল করে হাসতে হাসতে বলছিলেন""কি ব্যাপার শাফিন,চোর ধরতে গিয়ে এখন নিজেই কুপোকাত হয়ে গেলে???আহারে ধরা পরে গেলে।খুব কষ্ট হচ্ছে তোমাকে দেখে।
শাফিন:- ছি ছি ছি আমজাদ সাহেব,আপনি নিজের ভাই এর সাথেও এমন গাদ্দারি করতে পারছেন আপনি?নিশার কেনো ক্ষতি করতে চাইছেন?আপনার মেয়ে জারিনের মতোই তো সেও আপনার আপনজন।তাহলে কিসের এই প্রতিশোধের খেলা খেলছেন??
আমজাদ সাহেব জোরে হুংকার দিলেন এবং বলা শুরু করলেন এক নিশ্বাসে:-
কে বলেছে আহমদ আমার ভাই?কে বলেছে নিশা আমার মেয়ের মতো??যারা আমার আপনই না তাদের কেনো আমি আপন ভাববো?? আর প্রতিশোধ!!সেটাতো নিচ্ছি আমার রক্তের জন্যে...আমার মেয়ে অনিমার জন্যে।
শাফিন আমজাদ সাহেবের কথায় বিস্মিত হয়ে গেলো, সে জানতে চাইলো কিসের এই প্রতিশোধ?আর আহমদ স্যার তার আপন ভাই না হলে তিনি তার কে হোন?,,,,,,,

পর্ব ৭

কে বলেছে আহমদ আমার ভাই?কে বলেছে নিশা আমার মেয়ের মতো??যারা আমার আপনই না তাদের কেনো আমি আপন ভাববো?? আর প্রতিশোধ!!সেটাতো নিচ্ছি আমার রক্তের জন্যে...আমার মেয়ে অনিমার জন্যে।
শাফিন আমজাদ সাহেবের কথায় বিস্মিত হয়ে গেলো, সে জানতে চাইলো কিসের এই প্রতিশোধ?আর আহমদ স্যার তার আপন ভাই না হলে তিনি তার কে হোন?,,,,,,,
আমজাদ সাহেব তখন বলা শুরু করলো,,,,,
"""আমার বাবা দুই বিয়ে করেন।১ম স্ত্রীর সন্তান হলো আহমদ। আহমদের মা দূরারোগ্য এর জন্য মারা যায়। তারপর বাবা আমার মা কে বিয়ে করে নিয়ে আসেন এ বাড়িতে।
বাবার বিয়ের ২ বছর দুই বছর পর আমি দুনিয়াতে আসি।খুব ভালোই কাটিছিলো দিনগুলা ছিলো,একেকটা মুহূর্ত স্মৃতি হয়ে থাকছিল একেকদিন।
আমি আহমদ এর বিয়ের ২ বছর পর বিয়ে করি।আহমদের একটি ছেলে হয় যার নাম ছিলো আশিক এবং তার কিছুদিন পর আমার মেয়ে অনিমা জন্ম নেয়।দুই জনের ছেলে মেয়েই ছিলো পরিবারের সবার চোখের মণি।
সবকিছু ভালোই চলছিল,আহমদ আর্মিতে চলে যায় আর আমি বাড়ির ব্যাবসার দিক খেয়াল রাখি।
আশিক আর অনিমার বয়স যখন প্রায় ১৮ ছুঁইছুঁই তখনকার সময়ে এই পরিবারে ঘটে যায় এক তুমুল ঝগড়া। সেই ঝগড়ারর পিছনে দায়ী ছিলো আশিক।বাবা কাছে না থাকায় দিনদিন আশিকের অধঃপতন হতে থাকে।সে খারাপ সঙ এর সাথে মেলামেশা করে।এর মাঝে আশিক আর অনিমা দুজন দুজনাকে ভালোবেসে ফেলে।
আশিকের বাবা ছুটিতে এলে আশিকের সম্পর্কে সবকিছু জানতে পারেন।আশিকের বাবা এই অন্যায় কিছুতেই মেনে নিলেননা।
তিনি এসে সোজা আশিককে ধরে বেদরম মারধোর করা শুরু করেন।আমার মেয়ে অনিমার তা দেখে আর সহ্য হয়না,সে তাকে বাচাঁতে যায়। কিন্তু আশিক সেই সময় নেশাগ্রস্ত ছিলো,তার কাছে থাকা বেআইনি পিস্তল সে অনিমার মাথায় ঠেকায়।আহমদ কিছু করতে না পেরে সে গুলি চালিয়ে দেয়।কিন্তু সেই গুলি যেয়ে লাগে আমার মেয়ে অনিমার গায়ে।মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে আমার মেয়ে।আর আহমদ তার ছেলেকেও নিজের হাতে গুলি করে মারে।
আমার মেয়ের অকালে ঝড়ে পরার ব্যাথা আমাকে পাগল করে ফেলে।মনের ভিতর জন্ম নেয় প্রতিশোধ এর আগুন।এরপর কেটে যায় দেখতে দেখতে অনেক বছর,তারপর আমি খোজ পাই এই তান্ত্রিক বাবার।তিনি আমার মেয়ের অতৃপ্ত আত্মাকে ফিরিয়ে এনেছেন।আমি নিশাকে কোনো ভাবেই বাচতে দিবোনা।ধ্বংস করে দিবো আহমদ ও তার পরিবারকে।
আমি আর এইই তান্ত্রিক মিলে এইসব কিছুর প্ল্যান করি।সাউন্ড সিস্টেম দিয়ে ভয় দেখানো এবং সুযোগ বুঝে হত্যা করা হলোই আমাদের প্ল্যান।গত দু'দিনে আমার মেয়েকে দিয়ে চেয়েছিলাম নিশা এবং তার মা কে মারতে,কিন্তু তার মাঝে বাধা হয়ে দারালে তুমি।কি ভেবেছো এতো সহজে রেহাই পেয়ে যাবা!!!আজকেই আমি তোমাকে বলি দিবো আমি শয়তানের কাছে এবং আমার মেয়ের আত্মার শক্তি বাড়াবো তোমার রক্তের বন্যায়।""""
"""""'শাফিন সব কিছু শোনে পুরো ব্যাপারটা বুঝতে পারলো,তারমানে কেসটা অশরীরী এবং পারিবারিক শত্রুতা দুটো মিলিয়েই আছে।না না আমজাদ সাহেব অনেক বড় অন্যায় করছেন।ক্রোধের বশীভূত হয়ে তিনি আবারো ধ্বংস ডেকে আনছেন।ইতিমধ্যে শাফিন খেয়াল করলো তান্ত্রিক মন্ত্র পড়া শুরু করে দিলো।আমজাদ সাহেব হাসতে হাসতে বললেন,""কি ছোকরা ভয় পাচ্ছো নাকি!!!বেশ তো আমার পিছু লেগেছিলে, এখন নিজেকে পারলে বাচাও।""""
শাফিন কি করবে কিছুই ভেবে উঠতে পারছিলোনা।হঠাৎ তার তনিমার কথা মনে পড়লো।সে নিশ্চয় তার জন্য অপেক্ষা করে আছে।ঝুলন্ত অবস্থায় তার চোখের কোণ দিয়ে দু'ফোটা জল বেয়ে পরলো। আর তা দেখে বিশ্রী হাসির লিলায় মেতে উঠলো আমজাদ সাহেব।
ধীরে ধীরে জায়গাটা ধুয়াময় হয়ে উঠছিলো।
একটু পর বাতাস জোড়ে বইতে শুরু করলো।
শাফিন তার বেচেঁ থাকার আশা হারিয়ে ফেলছিলো ধীরে ধীরে।
তান্ত্রিক তার মন্ত্র পড়া থামিয়ে তার আসন থেকে উঠলো।সে চিৎকার করে বলা শুরু করলো"অনিমা তুই কি এসেছিস এখানে,দেখে যা তোর জন্য আজকে শিকার এনেছি।আজ একে বলি দিয়েই বৃদ্ধি করবো তোর শক্তি।কোথায় তুই সামনে আয়।""
ধীরে ধীরে সে জায়গায় কালো ধোয়াঁর কূন্ডলি আসতে লাগলো।শাফিন বুঝতে পারলো,যে অনিমার আত্মা এসে গিয়েছে।
কূন্ডলিটি আস্তে আস্তে অনিমার রুপ ধারণ করে।খুবই ভয়ানক চেহারা তার।
চোখের কোটর মণি শুন্য,চুলগুলো এলোমেলো ভাবে ছড়ানো,ঠোট গুলোতে রক্ত লেগে আছে,পা দুটো হাওয়ায় ভাসছে।মুখটা তার দিকেই করে আছে।চুপ হয়ে সে শাফিনকে দেখতে লাগলো।মনে হচ্ছে জেনো প্রতিশোধ এর আগুনটাকে আরো বাড়িতে চলছে।
তারপর সে বিশ্রী একটা হাসি দিলো,যে হাসিতে রয়েছে শুধুই ঘৃণা মিশ্রিত।
অনিমার আত্মা তখন বলা শুরু করলো,,,
"""চাঁদকে ডেকেছি আধারে
প্রতিশোধের ভেড়াজালে
লুটিয়ে দিবো সবাইকে
আমার মায়াজালের ফাসেতে""
কেনো কেনো কেনো এলি আমার কাজে বাধা দিতে???মানা করেছিলাম, শুনিসনি।আর দেবোনা সুযোগ তোকে,এবার বলি দিয়ে তোর রক্তে পিপাসা মিটিয়ে শক্তি বাড়াবো আমার।পারলে আটকিয়ে দেখা আমাকে।""
এই বলে,অনিমার আত্মা তান্ত্রিক এর দিকে ইশারা করলে তান্রিক ও তার সহকারী মিলে শাফিন কে নিচে নামালো।
তাকে ধরে এনে বলি দেওয়ার স্থানে নিয়ে গেলো।অনিমার আত্মা তা দেখে অনেক জোরে হেসে যাচ্ছিলো।
শাফিন সকল আশাই ছেড়ে দিয়েছিলো।
তান্ত্রিক মন্ত্র পড়া শুরু করলো,তারপর তার সহকারীকে ইশারা করলো শাফিনের মাথা কেটে ফেলার জন্যে।
তার সহকারী বড় ছুরি এনে উচিয়ে ধরলো তার মাথায়।
যখনই সে নিচে নামাচ্ছিলো কোপ দেবার জন্যে,ঠিক তখনই বিদ্যুৎ বেগে কিছু একটা এসে তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো।এবং অদ্ভুত বিষয় হলো সেখানে একরকম সুগন্ধ আসা শুরু করলো।শাফিন মৃত্যু নিশ্চিত জেনে চোখ বন্ধ করে ফেলেছিলো।কিন্তু ধাক্কার শব্দ শুনে চোখ খুলে সে অবাক হয়ে গেলো।
অদৃশ্য কেউ একজন এসে তার হাত পা এর বাধন খুলে দিলো।
আমজাদ সাহেব তান্ত্রিক,তার সহকারী এবং অনিমার আত্মা সবাই থমকে গেলো কিছু মুহুর্তের জন্য।

পর্ব ৮ ও শেষ পার্ট

আমজাদ সাহেব তান্ত্রিক,তার সহকারী এবং অনিমার আত্মা সবাই থমকে গেলো কিছু মুহুর্তের জন্য।
ধীরে ধীরে সেখানে একটি অবয়ব দেখা গেলো।প্রথমে কেউ না চিনলেও অনিমা চিনেফেলে যে এটা কে।এটা আর কেউনা এ হলো আশিকের আত্মা।
শাফিন যখন জানতে পারলো যে এ হলো আশিকের আত্মা,তখন সে তাকে জিজ্ঞাসা করলো যে সে কীভাবে এলো।
জবাবে আশিকের আত্মা বলে উঠলো:- "আমিও এতোদিন মুক্তির জন্য পথ খুঁজে বেরিয়ে ছিলাম।কিন্তু অনামিকার আত্মা এতোদিন জাগ্রত ছিলোনা।তার কারণে, আমি মুক্তির জন্য সাহায্য পাচ্ছিলাম না এবং আমিই অনামিকাকে মেরেছিলাম তবে সেটা নেশাগ্রস্থ অবস্থায়।কিন্তু অনামিকার প্রতি আমার ভালোবাসার সমাপ্তি হয়নি।আমাদের দুজনের দুই আত্মা এক হলে তবেই আমরা মুক্তি পাবো কিন্তু এর বদলে একজন প্রতিশোধ স্বরুপ নিকৃষ্ট একজনের প্রাণ আমাদের নিতেই হবে।"
তার এই কথা শুনে শাফিনসহ বাকি সবাই থমকে গেলো।এখানে যদি সব থেকে খারাপ মানুষ থাকে তার মধ্যে আমজাদ সাহেব এবং
তান্ত্রিকইই রয়েছেন।
আমজাদ সাহেব তার মেয়ের আত্মার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলেন,তিনি বললেন:-দেখ মা আমি তোর বাবা,সেই হিসেবে নিজের মেয়ের এমন মৃত্যু আমি মানতে পারিনি।তাই এর প্রতিশোধ নিজের হাতে না নিয়ে এভাবে নিতে চেয়েছিলাম।তুইতো বুঝবিরে আমার মনের অবস্থা।তুই আমাকে ক্ষমা করেদে।
অনিমা আর আশিক আমজাদ সাহেবের অবস্থা বুঝতে পারলো,তারা আমজাদ সাহেবকে ছেড়ে দিলো।
কিন্তু তান্ত্রিক সে তো খুবই নিকৃষ্ট,সে টাকার লোভে মানুষের অনেক বড় ক্ষতি করে থাকে।শাফিন তান্ত্রিককে প্রশ্ন করলো :-তুমি মানুষের ক্ষতি কেনো করে থাকো?মানুষ রাগ অভিমানের মাঝে থাকলে সে কি না কি করে তার ঠিকঠিকানা থাকেনা।কিন্তু তুমিতো সুস্থ মস্তিষ্কে থাকো,সুতরাং তুমি কেনো এমন করো???
জবাবে তান্ত্রিক বললো:- আসলে আমার টাকার লোভ বেড়ে গিয়েছিলো মারাত্মক। তাই আমি মানুষের ক্ষতি করে টাকা আয় করি।
শাফিন বললো তার মানে তোমার হাতে বহু মানুষেরই ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে শাফিন আমজাদ সাহেবকে সেই মুহুর্তে বললো:-মি.আমজাদ সাহেব,আপনিও অপরাধী। কারণ আপনি আহমদ সাহেবের ক্ষতি করতে চেয়েছিলেন।তাই আমি আপনাকে গ্রেপ্তার করলাম এই মুহূর্তে।
কিন্তু তান্ত্রিক একটা ব্যাপার আমাকে বলোনি,সেটা হলো আহমদ সাহেবের বাড়িতে যেই খালা কাজ করতেন,তিনি ভয় পেয়ে যাবার পর এখান থেকে চলে গিয়েছিলেন।কিন্তু তার কয়দিন পরই তার মৃত্যু হয়,তবে তা স্বাভাবিক মৃত্যু ছিলোনা।এই মৃত্যুর পিছনে তোমার হাত আছে কিনা বলো।
তখন তান্ত্রিক আমতা আমতা করে অস্বীকার করলো।
কিন্তু অনামিকার আত্মা জোরে হুংকার দিয়ে বলে উঠলো:-মিথ্যে বলছিস এখনো!!তুই,হ্যা হ্যা তুইতো আমাকে দিয়ে তাকে মারিয়েছিলি।কারণ সে তো বাগানে আর অন্য কাউকে নয় আমাকেই দেখেছিলো।কিন্তু আমিই তাকে সবাইকে এ কথা বলতে নিষেধ করি।তাতেও তোর শান্তি হয়নি তুই আমাকে দিয়েই তাকে মারালি,আর এখন মিথ্যে কথ বলছিস???
তান্ত্রিক কান্নাকাটি শুরু করে দিয়ে তার কাছে মাফ চাইতে থাকলো।
তাদের মুক্তি পাবার শর্তানুযায়ী তারা যদি একজন নিকৃষ্ট মানুষকে খুন করে তবেই তাদের মুক্তি হবে।
তাই তারা তান্ত্রিককেই বেছে নিলো।আশিক আর অনিমার ইশারায় তান্ত্রিক শুন্যে ভেসে উঠলো,তারপর অনিমা তার সামনে যেয়ে তার চোখের কোটরের দিকে তাকাতেই তান্ত্রিক এর চোখে থেকে ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হতে লাগলো।বেথায় তান্ত্রিক চিল্লাচ্ছিলো অনেক জোরে।বাকিরা ভয় পেলেও আশিক আর অনামিকা মেতে উঠেছে নিজেদের মুক্তির আনন্দে।তারপর আশিক তান্ত্রিক এর জিহবা টেনে ছিরে ফেললো। সব শেষে অনিমা আর আশিক দুইজন দুপাশ থেকে টানমেরে পুরোটা শরীর ভাগ করে ফেললো সেই নিকৃষ্ট তান্ত্রিকের।তান্ত্রিক মারা যাওয়ার সাথে সাথে অনামিকা আর আশিকের অবয়ব ধীরে ধীরে মুছে যেতে লাগলো।তখন তারা বুঝতে পারলো যে তাদের মুক্তি হয়েছে।তাদের খুশিতে শাফিন এবং আমজাদ সাহেবও খুশি।
আমজাদ সাহেবকে নিয়ে শাফিন সকাল হলে বাড়ি ফিরে আসে।
তাদেরকে এই সময় একসাথে দেখে আহমদ সাহেব সহ সবাই অবাক হয়ে যায়।
তারপর শাফিন তাদের পুরা ঘটনা খুলে বলে।
সবশেষে আমজাদ সাহেব সবার কাছে মাফ চায়।সবাই মাফ করলেও সে আইনের চোখে দোষী।তাকে তারপর শাফিন আর আহমদ সাহেব থানায় নিয়ে যায়। এরপর তাকে কোর্টে নিয়ে গেলে সে সব স্বীকার করে নেয়,এর ফলে তার ১ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত।
এরপর শাফিন আহমদ সাহেবের বাড়িতে এসে সবার কাছে তার আসল পরিচিয় দিয়ে বিদায় নেয়।পথিমধ্যে তনিমার ফোন আসলো। শাফিন গতকালকের কারনে পুরা একদিন তনিমার সাথে কথাই বলতে পারেনি।এখন সে ভয়ে ফোনও রিসিভ করতে পারছেনা।যাইহোক কাপা কাপা হাতে ফোন রিসিভ করে সে,,,,
তনিমা:-- ঐঐ কাল থেকে ফোন ধরো নাই কেন।মিশনে গিয়ে বউকে ভুলে যাওয়া তাইনা?
শাফিন:-- না না বউ,আসলে কালকে মিশনের শেষ পর্বে ছিলামতো তাই ফোন করতে পারিনি।
তনিমা:--ওওও আচ্ছা আজ বাড়িতে আসেন, আজকে পুরাই কুরুক্ষেত্র এর যুদ্ধ হবে,আসো খালি একবারর বাড়িতে।
[তাহাদের ঝগড়া থামবে কখন কেউ জানেনা।কিন্তু একজন আরেকজনকেকে ছাড়া বাচতেও পারবেনা।বেচে থাক তাদের খুনসুটি আর বেচে থাক তাদের ভালোবাসা]
[গল্পটির শেষ পর্বে এসে ততোটা ভয়ার্ত না করেই শেষ করলাম "অপারেশন হরর টুইষ্ট"। এটা ছিলো আমার লিখা প্রথম গল্প]

© bnbooks.blogspot.com

Bnbooks is one of the largest archieve storage of pdf books, Bengali story, Bangla Kobita, Lyrics and all Kinds of Literature. Tags: Free Bangla pdf books download, Bangla Kobita, Technology News, Song Lyrics.