অপারেশন হরর টুইস্ট - পর্ব ০১ - ০৪ - লোমহর্ষক ভূতের গল্প

অপারেশন হরর টুইস্ট
লেখক: এস এ সোহেল
পর্ব ০১ -


পর্ব ০১

[রাত ২টা বেজে ৩৫ মিনিট।বালিশের পাশে থাকা ফোনটি বেজে উঠলো ক্রিং ক্রিং শব্দে।ফোনের শব্দে আরামের ঘুম কে তাড়িয়ে ফোন কলটি রিসিভ করলো শাফিন।]
ফোন রিসিভ করার পর শাফিনের মুখ থেকে অপর পাশের ব্যাক্তিটির জন্য শুধু মাত্র তিনটি শব্দই প্রতিউত্তর হিসেবে বের হলো"জি স্যার,জি স্যার,জি স্যার"।অত:পর ফোন কলটি কেটে গেলো এবং শাফিন বিছানা থেকে দ্রুত উঠে চলে গেলো ফ্রেশরুমে।তার স্ত্রি মিস তনিমার ঘুমও ভেঙে গেলো।শাফিন ফ্রেশরুম থেকে ফিরে আসার পর তাকে প্রশ্ন করলো যে এতো রাতে কে ফোন দিলো এবং কেনোইবা সে এখন মুখ ধুয়ে এলো!
জবাবে শাফিন তনিমাকে বললো:
---আর বলোনা তনু,হেডকোয়ার্টার থেকে ফোন এসেছে এখনি যেতে হবে।আমার ছুটি বাতিল করা হয়েছে এবং অতি দ্রুত যেতে বলেছে।মনেহয় কোনো নতুন মিশন অপেক্ষা করছে।
----এইতো মাত্র ক'দিন হলে আসলে এখনি আবার চলে যাবে?
-----তুমিতো জানো তনু দেশের জন্যে আমি সর্বদা প্রস্তুত।তাই আমাকে বলা মাত্রই আমি যেতে চাই আমার কাজে।
-----তুমি সাবধানে থেকো,অনেক ভালোবাসি তোমায়, আর অবশ্যই খোঁজ খবর জানাবা আমাকে।
-----তোমার সাপোর্ট আছে বলেই আজ আমি এতোদূর অতিক্রম করতে পেরেছি। তোমার ভালোবাসাই আমাকে ভালো রাখবে।এখন যাচ্ছি ভালো থেকো।
বিদায়।
-----বিদায়,অপেক্ষায় থাকবো তোমার ফিরে আসার পথ চেয়ে।
[গল্পের শাফিন হলো আর্মির পেরাকমান্ডো অফিসার। যার বুকে আছে অদম্য সাহস এবং মাথায় আছে তীক্ষ্ণ বুদ্ধি।এই পর্যন্ত সে পার করেছে জীবনের কঠিনতম অনেকগুলো অধ্যায়। তার মত বিচক্ষণ সেনা খুব কমই পাওয়া যায়। ]
"ভোর ৫টা নাগাদ শাফিন এসে পৌছালো হেডকোয়ার্টারে।এসেই সরাসরি চলে গেলো কর্ণেল এর কাছে"।
কর্ণেল:-ওয়েলকাম অফিসার, তোমাকে যথা সময়ে দেখতে পেয়ে কিছুটা চিন্তামুক্ত হলাম।
শাফিন:-কিন্তু স্যারর কি এমন হয়েছে যার জন্য এত্ত জরুরী তলব করলেন আমায়?
কর্ণেল:-এটা কোনো যুদ্ধক্ষেত্রের মিশন নয়।এটা আমার পারিবারিক জটিল সমস্যা।
শাফিন:-বলেন কি স্যার!!আপনার পারিবারিক সমস্যা!!!কি হয়েছে আপনার পরিবারে যার জন্য আমায় ডাকলেন?
কর্ণেল:-তাহলে শুনো আমার বাড়িতে ঠিক কি হচ্ছে গত ১ সপ্তাহ ধরে।।।।।
গত ১৫ দিন আগে হঠাৎ করে আমার মেয়ে নিশা আমাদের কোনোকিছু না জানিয়েই লন্ডন থেকে চলে আসে।প্রথমে আমরা খুবই অবাক হই।তাকে জিজ্ঞাসা করলাম যে হঠাৎ কাউকে কোনো কিছু না জানিয়েই কেনো সে চলে এলো!! প্রতিউত্তরে সে জানালো যে এটা একটা সারপ্রাইজ ছিলো।সে যাইহোক অনেকদিন বাদে মেয়ে বাড়িতে আসাতে সবাই খুশিই হয়েছে।তাকে নিয়েতো পুরো বাড়িই হুইহুল্লোর পরে যায়।প্রথম তিন চার দিন বেশ ভালোই হাশিখুশিভাবেই দিন কাটাচ্ছিলো আমার মেয়েটা।কিন্তু এরপর থেকেই শুরু হয় ভয়ংকর দিনগুলো।আমার ছোট ভাই এর মেয়ে জারিন নিশার সমবয়সী। তাই সে নিশার সাথে সবসময় সঙী হিসেবে থাকতো।তো একদিন রাতে সে আর নিশা একসাথেই ঘুমাচ্ছিলো।মাঝ রাত্রিবেলা একটা অস্পষ্ট বিড়ালের গোঙানীর মতো আওয়াজে জারিনের ঘুম ভেঙে যায়।প্রথমে সে ভাবলো হয়তো তাদের মিনি বিড়ালটা জেগে আছে তাই আওয়াজ করছিলো।সে উলটা পাশে ফিরবার পর দেখলো যে নিশা বিছানায় নেই।সে ভাবলো হয়তো ওয়াশরুমে গিয়েছে। কিন্তু অনেক্ষন সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও নিশা ফিরছিলোনা।জারিন চিন্তায় পরে গেলো।নিশার কোনো সমস্যা হয়নিতো!!!
তার আগে বলে রাখি আমাদের বাড়িটা হলো ৩ তালা এবং দেখতে অনেকটা জমিদার বাড়ির মতো।জারিন আর নিশা থাকতো তিন তালার ঘরটিতে।তো তারপর নিশাকে খুজবার জন্য জারিন ঘর থেকে বের হয়,নিচতলার খাবারের রুম থেকে শুরু করে ওয়াশরুমগুলো সহ সব জায়গায় খুজেছে কিন্তু কোথাও পাওয়া যাচ্ছিলোনা নিশাকে।তারপর সে আমাদের সকলকে ডাক দেয়।সবাই মিলে তখন খোজাখুজি আরম্ভ করে দিলাম।এর মধ্যেই হঠাৎ করে বিদ্যুৎ চলে গেলো।আমি তখন সবাইকে বললাম কেউ জেনো অন্ধকারে ছুটাছুটি না করে,সবাই জেনো একজায়গায় এসে থাকে।তারপরই হঠাৎ জোরে চিৎকারের আওয়াজ ভেসে এলো তিনতলা থেকে।আশ্চর্যের বিষয় কি জানো শাফিন, এর পরপরই বিদ্যুৎ চলে এলো।আর সবাই তখন দৌড়ে উপরে গেলাম।কিন্তু উপরে গিয়ে যা দেখলাম,,,,,,,,,,,,,,

পর্ব ২

,,আমি তখন সবাইকে বললাম কেউ জেনো অন্ধকারে ছুটাছুটি না করে,সবাই জেনো একজায়গায় এসে থাকে।তারপরই হঠাৎ জোরে চিৎকারের আওয়াজ ভেসে এলো তিনতলা থেকে।আশ্চর্যের বিষয় কি জানো শাফিন, এর পরপরই বিদ্যুৎ চলে এলো।আর সবাই তখন দৌড়ে উপরে গেলাম।কিন্তু উপরে গিয়ে যা দেখলাম তা মোটেও আমাদের কল্পনাতেও ছিলোনা।দেখতে পেলাম জারিন তার রুমের সামনে পড়ে আছে অজ্ঞান হয়ে,সেই সাথে একটুখানি দূরেই আমাদের বাড়ির মিনি বিড়ালটির ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত দেহ মেঝেতে পড়ে আছে।জারিন এর অজ্ঞান হয়ে যাওয়া এবং বিড়ালের ক্ষতবিক্ষত প্রাণহীন দেহটি পড়ে থাকা এ দুটো ঘটনা মনের ভিতর আচঁর কাটলো।এরপর জারিনের মুখে পানি দিয়ে হুশ ফেরানোর পর কোথা থেকে যেনো নিশা ফিরে এলো।আমি অনেকটা রাগ নিয়েই তাকে জিজ্ঞাসা করলাম যে সে কোথায় গিয়েছিলো!!জবাবে সে জানালো যে, সে নাকি ছাদে হাটতে গিয়েছিলো।আমি বললাম,'এতো রাত্রিতে কেউউ ছাদে যায়?
এরপর নিশা আমতা আমতা করে বললো, "বাবা,আমার ঘুম আসছিলোনা।ততাই আমি ছছাদে গিয়ে হাটাহাটি করছিলাম।
ও আচ্ছা,তো এভাবে আমতা আমতা করছিস কেনো?
না বাবা একটু ঠাণ্ডা লেগে গিয়েছেতো ততাই।
ওহ আচ্ছা যা ঘরে যেয়ে ঘুমা এখন''।
তারপরে আমরা জারিন কিছুটা সুস্থ হলে তাকে আমি জিজ্ঞাসা করলাম যে সে কি এমন দেখলো যার কারণে সে জোড়ে চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলো!!!
জবাবে জারিন বললো,"আমি যখন নিশাকে খুজতে খুজতে তিনতলাতে গেলাম, হেটে হেটে আমার রুমের দিকে নিশাকে আবার খুজবার জন্য আসছিলাম।হঠাৎ তখন বিদ্যুৎ চলে গেলো।ছাদে উঠার সিঁড়ির পথ দিয়ে আসা হালকা চাদের আলোতে আমি সামনে এগিয়ে যাচ্ছিলাম,হঠাৎ শব্দ পেলাম আমার রুম থেকে দরজা খোলার আওয়াজ।আমিতো ভেবেছিলাম হয়তো নিশা এসে গেছে।কিন্তু কিছু একটা ছুড়ে ফেললো কেউ আমার দিকে।আমি দূরে থাকায় আমার কাছ পর্যন্ত আসেনি,আমি চাদের আলোতে একটু খেয়াল করে তাকিয়ে দেখলাম,আমাদের মিনি বিড়ালটার রক্তাক্ত প্রাণহীন দেহ পরে আছে মেঝেতে।এটা দেখে আমি খুব ভয় পাই এবং অজ্ঞান হয়ে পড়ি।কিন্তু আংকেল তখন আমার রুমে কেইবা ছিলো,কেইবা বিড়ালটাকে এভাবে মারলো কিছুই বুঝতে পারলামনা"।
তারপর আমি জারিনকে বুঝিয়ে বললাম হয়তো কোনো অন্য বড় বিড়ালের সাথে ঝগড়া লেগে এমন হয়েছে।সেদিন কেনোরকমে সবকিছু ঠিকঠাক করেছি।
তারপর দুইদিন ভালোই চলছিলো।
দুইদিন পরের ঘটনা,,,
আমাদের বাড়ির পুরানো কাজের মানুষটি যাকে আমরা রহিমা খালা বলে ডাকি তার সাথে ঘটে যায় আরকটি অদ্ভুত ঘটনা।সময়টা খালার বর্ণনা মতে রাত্র প্রায় ১১.৪৫মিনিট।খালা থাকতো নিচতলার একটি রুমে।গ্রামের বাড়ি হওয়ায় সবাই তখন ঘুমিয়ে পড়েছে। রহিমা খালার পানির পিপাসায় ঘুম ভেজ্ঞে যায়।তিনি পানি খাওয়ার জন্য খাবার টেবিলে যায়, পানি খেয়ে ফিরবার পথে খেয়াল করলেন বাড়ির সদর দরজা খোলা রয়েছে।বেপারটা বেশ অদ্ভুত লাগলো তার কাছে।কেননা তিনি নিজেই রাতে ঘুমানোর আগে দরজা বন্ধ কিনা তা চেক করে নিয়েছিলেন।তারপরও তিনি আর বেশি কিছু না ভেবে দরজাটি লাগাতে গেলেন।তার বর্ণনামতে যখন তিনি দরজা লাগাতে জান,তখন বাহির থেকে একটা মেয়ের অট্টহাসির শব্দ শুনতে পান।তিনি ভাবলেন এতো রাতে বাড়ির বাহিরে কোন মেয়ে যেয়ে এমনভাবে হাসছে!!তাই তিনি বের হলেন সেই হাসির শব্দকে কেন্দ্র করে।তিনি শব্দটি অনুসরণ করে একপা দু'পা করে এগিয়ে যাচ্ছেন।শব্দটি ধিরে ধিরে বাগানের মধ্যখানের থেকে ভেসে আসছিলো।অথচ বাগান থেকে যে কোনো স্বাভাবিক হাসির শব্দ ঘর পর্যন্ত আসা সম্ভব নয় তা তিনি একবারো ভাবেননি।
তিনি শব্দকে অনুসরণ করতে করতে বাগানের শিমুলগাছের কাছে এসে পৌছালেন।এখানে এসে দেখলেন যে নিশার মতো একটি মেয়ে সেখানে দারিয়ে উল্টো দিকে মুখ করে হেসে যাচ্ছে। রহিমা খালাতো ভেবেইছিলো যে এটা নিশা।সে ঐ মেয়েটাকে ডাক দেয় এবং বলে যে এই নিশা আপা আপনে এতো রাইতে এহানে কি করেন?আপনের কি মাথা খারাপ হয়েছে নাকি?
এ কথা শুনবার পর মেয়েটি আস্তে আস্তে তার দিকে ঘুরে তাকায়,এবং তাকানোর পর তিনি দেখতে পান এটা নিশা নয়,নিশার মতো অভয়বে একটি বিকিৃত চেহারা,চোখগুলো ছিলো টকটকে লাল,চুলগুলো ছিলো এলোমেলো।তার মুখ দেখে মনে হচ্ছিলো নাকি নিশার মাঝেই অবস্থানরত অন্য এক পিশাচিনি।
সেই মেয়েটি নাকি রহিমা খালার গলায় চেপে ধরে উপরে তুলে ধরে এবং বিস্রি গলায় বলতে থাকে মরবি তোরা সব মরবি,সময় হয়েছে এবার সবকিছু কেড়ে নেওয়ার।এটা বলেই রহিমা খালাকে নিচে ফেলে দেয়,তারপর তাকে বলে দৌড়ে পালাতে।তখন রহিমা খালা দৌড়াতে দৌড়াতে এসে আমাদের বড়ির উঠোনে এসে পড়ে যায় অজ্ঞান হয়ে।
আমার স্ত্রি যখন ফজরের নামাজ পরতে বের হয় তখন তাকে অজ্ঞান অবস্থায় পরে থাকতে দেখে আমাদের সবয়াইকে ডেকে আনে,অত:পর তার জ্ঞান ফেরার পর আমরা তার কাছ থেকে এসব কিছু জানতে পারি।রহিমা খালা সেদিনই আমাদের বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। আমাদের মনে তখন নিশাকে নিয়ে ভয় জাগলো,আমি তাকে নিয়ে এক কবিরাজ এর কাছে গেলাম,কিন্তু কবিরাজ বললো তার সাথে কোনো সমস্যা নেই।কিন্তু এরপরের দিন খবর পেলাম যে আমাদের রহিমা খালা আত্মহত্যা করেছেন,কিন্তু অবাক বেপার হলো তার চোখ দুটি এবং জিহ্বা কেউ টেনে ছিরে ফেলেছে,যা মোটেও আত্মহত্যা এর মধ্যে পড়েনা। আমাদের বাড়িতেও এখন আজগুবি সব ঘটনা ঘটে চলেছে দিন দিন।আরো তিনচারজন কবিরাজ এনেছিলাম কোনো কাজ হয়নি।আর নিশা দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছে,সারাদিন একা থাকে কারো সাথে কথা বলেনা।বেপারটা সত্যিই হরিবল হচ্ছে দিন দিন।
[শাফিন এবং কর্ণেল এর কথা চলাকালীন হঠাৎ কর্ণেল এর ফোন বেজে উঠলো।অদ্ভুত ব্যাপার হলো নাম্বারটি দেখাদেখা যাচ্ছিলোনা,শুধু লেখা ছিলো আননোউন নাম্বার।যাইহোক স্যার ফোন ধরলো।ফোন কলটি ধরবার পরপরই স্যার ঘাবড়ে গেলেন।ফোন কলটি কেটে যাবার পরপরই কর্ণেল শাফিনকে বললেন এই মুহুর্তে তাদের বাড়িতে যেতে হবে।শাফিন কর্ণেলকে জিজ্ঞাসা করলো যে ঠিক কি হয়েছে যার জন্য এখুনি বাড়িতে যেতে হবে??
কর্ণেল শুধু বললেন:গাড়িতে উঠো বড় বিপদ ঘটে গিয়েছে।আমার নিশাকে পাওয়া যাচ্ছেনা কোথাও।]

পর্ব ৩

[শাফিন এবং কর্ণেল এর কথা চলাকালীন হঠাৎ কর্ণেল এর ফোন বেজে উঠলো।অদ্ভুত ব্যাপার হলো নাম্বারটি দেখা যাচ্ছিলোনা,শুধু লেখা ছিলো আননোউন নাম্বার।যাইহোক স্যার ফোন ধরলো।ফোন কলটি ধরবার পরপরই স্যার ঘাবড়ে গেলেন।ফোন কলটি কেটে যাবার পরপরই কর্ণেল শাফিনকে বললেন এই মুহুর্তে তাদের বাড়িতে যেতে হবে।শাফিন কর্ণেলকে জিজ্ঞাসা করলো যে ঠিক কি হয়েছে যার জন্য এখুনি বাড়িতে যেতে হবে??
কর্ণেল শুধু বললেন:গাড়িতে উঠো বড় বিপদ ঘটে গিয়েছে।আমার নিশাকে পাওয়া যাচ্ছেনা কোথাও।]
এ কথা শুনবার পর আমি আর স্যার একইসাথে রওনা দিলাম।তবে গাড়িতে উঠবার আগে আমাকে স্যার আর্মির পোষাক পরিবর্তন করে নিতে বলেন।গাড়িতে স্যার আমাকে বললেন যে এই ব্যাপারটা "খড়ের গাদায় সুচ"খোজবার মতোই।কারণ কতিপয় কিছু মানুষ এটাকে হরর বললেও এমনতো হতে পারে যে এটা প্যারানরমাল এক্টিবিটি হতে পারে না যদিও আমাদের এখানকার বাসিন্দারা তাই বলছে।আবার অন্যদিক থেকে চিন্তা করলে এমনতো হতে পারে যে আমার কোনো শত্রু এই কাজ করছে।
[বিষয়টা নিয়ে শাফিন একটু ভেবেই উত্তর দিলো]
:- তাহলে স্যার আপনি বলতে চাইছেন যে বিষয়টি এখনো পরিষ্কার নয়,হতে পারে এটা প্যারানরমাল কিংবা শত্রুদের কাজ।কিন্তু স্যার আপনার শত্রু এই গ্রামে!!কিভাবে হবে?কি করে?
:- শাফিন আসলে আমাদের বাড়িটা অনেক আগের,সেই সাথে আমাদের পৈতৃক এবং আমার গড়েতোলা সহায় সম্পত্তির উপর অনেকের এখন নজর পরে আছে।আমারও বয়স হয়েছে।আর মাত্র ৩ মাস পর আমি অবসরে চলে যাবো,এতে করে আমার ক্ষমতাও হাতছারা হয়ে যাবে।
এতোদিন মানুষ আমার ক্ষমতাকে সম্মান করেছে,ভয় করেছে।কিন্তু আর কয়দিন পর থেকে তাদের মাঝে আর সেই ভয়টি থাকবেনা কিংবা সম্মানটাও স্থায়ী হবেনা।
তাই এ সুযোগে আমার পরিবারের কিংবা বাহিরের কেউ হলেও আমার প্রিয় মানুষগুলোর উপর আঘাত আনতে পারে।
আর এই বিষয়টা নিশ্চিত করার জন্য গোপনে খুবই কৌশলের সাথে সবকিছু জানতে হবে।তাই আমি অন্য সাধারণ কাউকে কিছু না বলে তোমাকে ডেকে আনলাম।
:- আচ্ছা তা বুঝতে পারলাম স্যার।কিন্তু তাহলেতো আপনার বাড়িতে আমাকে পরিচয় গোপন করে থাকতে হবে।
:-হ্যা শাফিন,তাতো অবশ্যই।তুমি আমাদের বাড়িতে আমার বন্ধুর ছেলে পরিচয় নিয়ে যাবে।আর বলবো যে তুমি ভুমি ও কৃষি গবেষণায় এখানে এসেছো।
:- হাহা স্যার,আর্মি থেকে এখন কৃষিবিদ বানিয়ে দিলেন।
:-কি করবে বলো,এছাড়াতো আরা ভালো কাজ দেখছিনা।
,,,,,,,,,,শাফিন আর কর্ণেল গাড়িতে চলতে চলতে ঘুমিয়ে পড়েছে।গন্তব্য কুমিল্লার কৃষ্টপুরে জমিদার বাড়ি।ঢাকা থেকে মাত্র ৩ঘন্টার পথ।শহরের পথ ছেড়ে গ্রামের পথে ঢুকাবার পর রাস্তাটা চলেছে জংগলের পাশ ধরে।বেলা দুপুর ১২টা,রাস্তাঘাটে মানুষজন তেমন একটা নেই।হঠাৎ গাড়ি চালকের দ্রুত ব্রেক কষার ফলে শাফিন এবং কর্ণেল দু'জনেরই ঘুম ভেজ্ঞে যায়। শাফিন জিজ্ঞেস করলো গারি চালককে কেনো এতো জোরে ব্রেক কষলো?প্রতিউত্তরে ড্রাইভার বললো যে,গাড়ির সামনে হঠাৎ কেউ একজন দৌড়ে এসেছিলো। তাই সে তাৎক্ষণিক ব্রেক করে।শাফিন তার পিস্তলটি হাতে নিয়ে বের হলো গাড়ি থেকে।কর্ণেল সাহেবও বের হলেন।গাড়ির সামনে যাওয়ার পরপরই দেখেতে পেলো একটি মেয়ে পড়ে আছে।শাফিন কাছে যেয়ে মেয়েটিকে সোজা করে বসালো,এবং দেখলো মেয়েটি জীবিত আছে কিন্তু অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে। মেয়েটিকে দেখামাত্রই কর্ণেল সাহেব চিৎকার দিয়ে বলে উঠলেন এতো তার মেয়ে নিশা।শাফিন তাড়াতাড়ি করে গাড়ি থেকে পানির বোতল নিয়ে এসে নিশার চোখে মুখে ছিটিয়ে দেয়।তার হাতে একটু কেটে গিয়েছে, তবে জ্ঞ্যান ফিরবার পর তার চোখ মুখের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছিলো অনেক ভয় পেয়েছে।দেরী না করে তাকে নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হলো শাফিন এবং কর্ণেল।,,,,,,,,
৩০ মিনিট পর তারা বাড়িতে এসে পৌছালো।বাড়িতে আসার পর সবাই নিশাকে শাফিনদের সাথে দেখবে তা তারা ভাবতেই পারেনি।বাড়ির মেয়েকে ফিরে পেয়ে সবাই তার সেবায় লেগে গেলো।কিন্তু সবার অন্তরালে একজনের মুখেই শুধু দেখা গেলো অশান্তির ছাপ।বাড়ির আর বাকিদের চোখে এই ব্যাপারটি লক্ষ্য না হলেও কমান্ডো অফিসার শাফিনের নজর থেকে সেই মুখটি এড়াতে পারেনি।শাফিন বেশ খানিকটা অবাকই হলো।নিশার শরীর ভালোনা বিধায় তাকে কোনো আর জিজ্ঞেস করেনি কেউই।
শাফিনকে সবার মাঝে পরিচয় করিয়ে দেন কর্ণেল সাহেব।রাত্রির খাবার শেষ করে,শাফিন চলে গেলো গেষ্ট্ররুমে শোবার জন্য।তার থাকার রুমটি ছিলো জারিন নিশাদের রুমের পাশেই।
তনিমার সাথে কথা বলে শাফিন ঘুমিয়ে পড়ে।অনেকটা পথ জার্নি করে আসায় সে ক্লান্ত ছিলো,তাই তাড়াতাড়ি সে ঘুমিয়ে পড়ে।
গভীর রাত্রিবেলা,শাফিনের অনেক গরম লাগা শুরু করে।ফ্যান চলার পরেও এতো গরম লাগছিলো তার।গরমে তার ঘুমটা হাল্কা ভেজ্ঞে গেলো।একটু খানি চোখ মেলতেই সে দেখতে পেলো,তার ঘরের মধ্যে কেমন জানি ধোঁয়ার সৃষ্টি হচ্ছে।খুব দ্রুত তার রুমে তা ছড়িয়ে গেলো।সে তার একহাত সামনেও কিছু দেখতে পারছিলোনা।
হঠাৎ কেমন একটা বাজে গন্ধ তার নাকে এলো,বিচ্ছিরি ব্যাভসা টাইপের গন্ধ।সে বিছানা থেকে নেমে দারায় এবং দরজা খুজতে থাকে বের হওয়ার জন্য।সে দরজা পেয়েছে কিন্তু বের হতে পারছেনা।এসব কি হচ্ছে তার সাথে!!!!!সে জোরে জোরে ধাক্কাও দিতে থাকলো কিন্তু কিছুতেই খুলছিলোনা।এদিকে রুমের বিচ্ছিরি গন্ধ সাথে এতো ধোঁয়া সব মিলিয়ে তার ধম বন্ধ হয়ে আসছিলো।একটু পর রুমের মধ্যে একটি নারী কন্ঠের আওয়াজ আসা শুরু করলো।
তবে কি হতে চলেছে শাফিনের সাথে!!!!!!!,,,,

পর্ব ৪

শাফিন অনেক চেষ্টা করবার পরেও গেট খুলছিলোনা।তার মধ্যে একটি নারী কন্ঠের উদ্ভট হাসির ব্যাপারটাকে অনেকটাই নাড়িয়ে দিয়েছিলো শাফিনের মনকে।হাসি থামিয়ে নারী কন্ঠটি বলে উঠলোঃ[কি অফিসার রহস্য বের করতে এসেছিস!!! বাচঁতে হলে চলে যা এ বাড়ি থেকে।কাউকে রক্ষা করতে পারবিনা তুই,আজ চাইলেই তোকে মেরে ফেলতে পারতাম,কিন্তু তুইতো আমার শিকারনাহ।তাই তোকে শেষ সময় দিলাম কালই চলে যাবি এখান থেকে।]
...শাফিন বারবার জিজ্ঞাসা করলো কে সে??কেনো সবার ক্ষতি করতে চাইছে সে!!!!কিন্তু তার কোনো উত্তর সে আর পেলোনা।নারী কন্ঠটি হাওয়ায় মিলিয়ে গেলো।তারপর শাফিন দরজা ধাক্কা দেওয়ার সাথে সাথেই খুলে গেলো।ব্যাপারটা তাকে বেশ চিন্তায় ফেলে দিলো।সে রাতে এই ঘটনা শাফিন আর কাউকে বলেনি।
এরপর রাত পেরিয়ে সকাল হলে শাফিন কর্ণেলকে বললো যে সে একটু কুমিল্লা শহরে যাবে কিছু কেনাকাটা করবে।তার স্যার বললো গাড়ি নিয়ে যাবার জন্য,কিন্তু শাফিন রাজি হলোনা।সে বললো যে, সে নাকি একাই যেতে পারবে।এদিকে কর্ণেল সাহেবের ড্রাইভার বারবার শাফিনকে বলছে গাড়িতে যেতে, ব্যাপারটা শাফিনের কাছে অদ্ভুত লাগে।তারপর শাফিন গাড়ি নিয়ে চললো কুমিল্লা শহরের দিকে।অন্যদিকে বাড়িতে যে যার কাজে ব্যাস্ত।জারিন নিশার পাশে বসে কথা বলছে।জারিন নিশাকে জিজ্ঞেস করলো যে কাল কি হয়েছে যে সে এভাবে না পাত্তা হয়ে গেলো!!!!জবাবে নিশা জারিনকে প্রতিশ্রুতি দিতে বলে যাতে এই মুহুর্তে কাউকে জেনো কিচ্ছু না জানায় সে।জারিন প্রতিশ্রুতি দিলো,যে সে কাউকে বলবেনা।নিশা তার ঘটনা বলতে শুরু করলো::::
'''গতকাল সকালে নাস্তা খাবার পর আমি আমার রুমে আসি রেষ্ট নেবার জন্য,আর তুমি তখন কাকিমার সাথে নিচে রান্নায় সাহায্য করছিলে।বাড়ির বড়রাও নিচে ছিলো।তো আমি কিচ্ছুক্ষন শুয়ে থাকবার পর দরজার মধ্যে একটি আওয়াজ শুনতে পেলাম।আমি বললাম কেউকি এসেছেন?দরজাতো খোলাই রয়েছে।কিন্তু কারোর কোনো সাড়াশব্দ পেলামনা।একটু পরে দেখলাম পুরো রুমে ধোয়াঁ বের হতে থাকে।আমি ভয় পেয়ে দৌড়ে রুম থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করি,কিন্তু দরজা টানতে যাবার সময় দেখি যে বাহির থেকে আটকানো।আমি চিৎকার করি ভয়ে,কিন্তু হয়তো কেউ শুনতে পায়নি।একটু পর রুমের মধ্যে কে জেনো হেসে উঠে!!কন্ঠটি ছিলো একজন পুরুষের। সে আমাকে বললো যে,কিরে নিশা তুই এখানে বসে বসে আরাম করছিস!!বেশিদিন রইবেনা এই সুখ তোর।আমি ভয়ার্ত কন্ঠে পালটা প্রশ্ন করলাম যে,কেনো কি করেছি আমি যে আমার আর সুখ সইবেনা??তখন সেই কন্ঠটি জবাব দিলো যে,সে আমার বাবা মা সবাইকে হত্যা করে সবকিছু ছিনিয়ে নিবে।আমি তখন বললাম যে কেনো তার কি ক্ষতি কিরেছি আমরা যে সে এমন করবে?প্রতিউত্তরে সে বললো,আমরা নাকি তার অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছিলাম।
আমি তখন কি বলবো বঝতে না পেরে বললাম"প্লিজ আমার বাবা-মা কে তুমি হত্যা করোনা,তুমি কি চাওও বলো?তাও তুমি আমার বাবা মা কে মেরোনা"।তখন সেই কন্ঠটি বললো যে,"হাহাহা বড্ড দেরি করে ফেললিরে,তোর বাবাকে আমি মায়াবশে ধরে ফেলেছি।তাকে আমি পশ্চিম জজ্ঞলের মাঝে কালিমন্ধিরের ডেরায় তাকে বশ করে আটকে রেখেছি।পারলে বাচা তোর বাবাকে।"এই কথা শুনে আমি স্তব্ধ হয়ে যাই। তাই আমি তখনি কাউকে কিছু না বলে,ঠিকমতো কিছু না ভেবেই চলে যাই সেই ঘন জজ্ঞলে।যেতে যেতে অনেকটা ভিতরে জাওয়ার পর দেখতে পাই সেই মন্দিরটি।আমি কাপাকাপা পায়ে ধীরে ধীরে হেটে মন্দিরের ভেতরে যাই। কিন্তু আমি পুরোটা মন্দির ঘুরেও কোথাও কাউকে দেখতে পাইনা।হঠাৎ কেউ আমার হাত টেনে ধরে।ফিরে দেখি মুখবাধা একজন লোক আমার হাত ধরে আছে এবং তার সাথে আরেকজন লোক ছিলো সেও মুখবাধা ছিলো।তখন অন্য লোকটি বললো,কি মামুণি বাবাকে বাঁচাতে এসেছো???হাহাহা তোমার বাবাতো এখন ঢাকাতে।কি বোকা মেয়ে তুমি!! এখানে বললাম তোমার বাবাকে আটকে রেখেছি আর তুমি চলেও এলে!!!
আমি বললাম যে কি চান আপনি?আমাদের কেনো ক্ষতি চাইছেন!!!!আমি বাড়ি গিয়ে বলে দিবো সবাইকে যে আপনি আমাদের ক্ষতি করার জন্য চেষ্টা করছেন। তারপর লোকটি বললো''আগেতো বেচে ফিরো মামুনী"।
এই কথা শুনবার মাত্রইই,আমার হাত ধরে থাকা লোকটার হাতে কামড় দিয়ে আমি ছুটতে শুরু করি।ওরাউ আমার পছু নিতে শুরু করে।আমি দ্রুত দৌড়ে রাস্তার সম্মুখে আসতে সক্ষম হই।আমার ভাগ্যটা এতটা ভালো হবে জানতাম না। কারণ আমি বাবার গাড়ির সামনেই পড়ে যাই।তারপর আমি জ্ঞ্যান হারিয়ে ফেলি।এরপর জ্ঞ্যান ফিরলে বাড়ি আসি আমরা।"
ওহ নো,এতোকিছু ঘটে গেলো আর তুমি বাবাকে কিছুই জানালেনা এখনো??কি করবো বলো আমি বলতে ভয় পাচ্ছি,বাবা যদি টেনশন বেশি করে তাহলে বাবা অসুস্থ হয়ে পরবে তাই আর বলিনি।কিন্তু আমার চিন্তাতো আরো বেড়ে যাচ্ছে। এওমন সময় বাহিরে গাড়ির আওয়াজ পেলো।শাফিন ফিরে এসেছে শহর থেকে এবং সাথে কিছু একটা এনেছে অনেকগুলো।প্যাকেটে মোড়ানো থাকায় কেউ বুঝতে পারেনি। এদিকে বাসায় এসে ফ্রেশ হবার পর শাফিন জারিন এবং নিশার সাথে কথা বলতে আসে।শাফিন তাদেরকে তার আসল পরিচয় জানায়।তারপর নিশা শাফিনকে তারসাথে ঘটে যাওয়া সব কথা খুলে বলে।নিশার সাথে যেমনটা ঘটেছে,ঠিক তেমনি ঘটেছে তার সাথেও।তারমানে স্যার এর অনুমানই ঠিকছিলো!!এগুলো কোনো ভুতুড়ে কারবার নয় মানুষেরই কাজ।লোভের নেশায় মত্তো হয়ে খুনের ভয় দেখিয়ে আপনাদের সব কেড়ে নিতে চাইছে।
শাফিনের কথা শুনে নিশা বললো তাহলে কে এমন করতে পারে?আর ঘরের মধ্যে আওয়াজ আসা,সেদিনের বিড়াল মরে যাওয়া, আমাদের রহিমা খালার ভয় পাওয়া এবং তার অস্বাভাবিক মৃত্যু এগুলো কি করে হলো!!?
শাফিন নিশার কথায় একটু থমকে যায়। আসলে সত্যিইতো একদিকে মানুষ ধমকি দেয় আর অন্যদিকে অস্বাভাবিক ঘটনাগুলো ঘটছে।এর মাঝের যোগসূত্র কি তাহলে!!!
জারিনের কথায় ভাবনায় চির ধরে শাফিনের।জারিন বললো,'তাহলে এখন কি পরিকল্পনা করতে চলছেন আপনি?'
জবাবে শাফিন বললো"আমি আজকে রাতে নজর রাখবো সব জায়গায়।শহর থেকে সিসিটিভি ক্যামেরা নিয়ে এসেছি আজ আমি।প্রতিটা ঘরের দরজার সাথে প্রথমে লাগিয়ে আজ দেখবো যে বাহির থেকে কেও কোনো কিছু করছে কিনা।"
জারিন আর নিশা তার কথায় সম্মতি দিলো।
যেমন বলা তেমন কাজ অনেকটা গোপনে এবং সতর্কতার সাথে সে ক্যামেরাগুলো ফিট করে ফেললো।রাতের খাবার শেষে যে যার ঘরে চলে গেলো।শাফিন তার রুমে যেয়ে ল্যাপটপ অন করে ক্যামেরার মাধ্যমে নজর রাখছিলো সবগুলো তলার করিডোর থেকে দরজা পর্যন্ত।
রাত্র তিনটা বেঁজে গেলো,অথচ এখনো ক্যামেরায় কিছু ধরা পড়েনি।
'''বেশ কিছুক্ষন পরে হঠাৎ শাফিন সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখতে পেলো একটি অন্ধকার কুন্ডলির মতো ধোঁয়াটে কিছু একটা ভেসেভেসে আসছে তার ক্যামেরার দিকে।অতঃপর প্রথমে নিচতলার ক্যামেরার কানেকশন ছুটে গেলো একে একে তিনতলার ক্যামেরার কানেকশন পর্যন্ত চলে গেলো।শাফিন আর দেরি না করে শাফিন ছুটে গেলো বের হবার জন্য।ভাগ্যিস দরজাটা আজ আর বন্ধ হয়নি।সে ধীরেধীরে তিনতলার করিডোর বরাবর এগিয়ে যাচ্ছে। হাতে তার পিস্তলটি নিয়ে আছে।হঠাৎ সেই কালো ধোয়াঁটে কুণ্ডলী তার সামনে এসে পড়ে এবং তাকে উপরে ভাসিয়ে তুলে।সে চিৎকার করে কিন্তু কেউ শুনতে পায়না।তখন ঐ কুণ্ডলীর থেকে আওয়াজ এলো"আমাকে ধরা এতো সহজ না।তোকে বলেছিলাম পালিয়ে যেতে। কিন্তু তুই আমার কথা শুনিসনি।তোকে আজ মেরেই ফেলবো।"
এই বলে শাফিনকে ছুড়ে মারে মেঝেতে।শাফিন ব্যাথায় ককিয়ে উঠে।সেই অশরীরীটি আবার তার দিকে ধেয়ে আসে।কিন্তু তখনি আজানের শব্ধ ভেসে আসে এবং সেই অশরীরীটি চিৎকার করতে থাকে এবং শাফিনকে বলে যে আজ বেচেঁ গেলি তবে আমি আবারো আসবো 'এই বলে সেই অশরীরীটি বাতাসে মিশে যায়।
শাফিন ভেবে পাচ্ছিলোনা এতোকিছুর পেছনে মূল রহস্যটি কি তাহলে!!!মাথায় আঘাত পাওয়ায় সে আর বেশিক্ষণ হুশে থাকতে পারলোনা,জ্ঞ্যান হারালো সেখানেই।
''''আসলে কি হবে তাহলে!!!অশরীরীই হবে নাকি এখানেও রয়েছে অন্য রহস্য???কেনো সবাইকে মারতে চায় এই অশরীরী??

© bnbooks.blogspot.com

Bnbooks is one of the largest archieve storage of pdf books, Bengali story, Bangla Kobita, Lyrics and all Kinds of Literature. Tags: Free Bangla pdf books download, Bangla Kobita, Technology News, Song Lyrics.